কন্যাভ্রুনের কান্না

মা , তোর জঠরে জন্ম হলো , ধুক পুক করে প্রাণ
আলো তু্ই কেড়ে নিলি , দিলি না জীবনদান !!
একটু একটু করে বাড়তে থাকি বার্তা দি তোকে
আমি যে তোর সন্তান , ভুলেই গেলি নিষ্ঠুর নিয়মে !!
হঠাৎ করে দেখি আমি, ভেদ করলো ধারালো ছুড়ি
ছোট্ট ছোট্ট হাত পা , আমার পেলব মুখোমণ্ডলী
আঘাত লাগে , রক্ত ঝরে , কুচি কুচি কচি প্রাণ |
কষ্ট হয় ক্ষত বিক্ষত খন্ড খন্ড আমার কায়া মন |

মা ভেবে দেখ তু্ই, তোর একটা আঙ্গুল কেউ যদি কাটে
বিচার পাবি বিচার সভায় তোর আদালতে |
দোষ কি মা , আমার বল , কসাই হলি কেন ?
হত্যা যদি করবি আমায় দিলি কেন জন্ম?
তোর শারীরিক সুখের কারণে কি আমার শাস্তি পাওয়া?
না শুধুই তু্ই পুত্র চেয়েছিলি , কন্যা নির্যাতিতা !!
লিঙ্গ যখন নির্ধারণে ছিল না কারো হাত
মায়ের সাথে হাত মিলালো আধুনিক লোভী চিকিৎসক |
চকচকে নোটের বদলে টুকরো করলো দেহ
জন্ম তো আমার আগেই ছিল , বুঝলো নাতো কেহ |
দলা পাকিয়ে সাঁড়াশি কাঁচিতে কত কসরত
মা , বলনা মা কন্যা হওয়ায় ছিল আমার অপরাধ !!
তু্ই ও তো কন্যা কারো , দেখলি চোখে জগৎ
মাদার টেরিসাও মা যে আছেন , মাতৃত্বে সৎ |
——————————
রচনায়: অঞ্জনা চক্রবর্তী , ভারত।

লেখক পরিচিতি

blank
eiapotrika