“বনভোজন ২০২৫ ” এটি সম্পূর্ণ বাংলা বাগধারা দিয়ে লেখা হয়েছে

অম্বল,কম্বল,ডম্বল এই তিনের শীতের সম্বল নিয়ে বসে থাকলেই কি চলবে? না লাইসিয়াম তো এখানেই বসে থাকবে না। তাই সকলের পালের গোদা হাসান স্যার বললেন এবারেও হবে চুরইভাতী। তবে সকল শিক্ষক দের আদা জল খেয়ে অগ্নিপরীক্ষা দিলেই হবে তা। কিন্তু যাব কোথায় তা ভাবতেই সবাই অথৈ জলে পড়ল কেউ বলে কুয়াকাটা আবার কেউ বলে তো সাজেক ভ্যালি। এমন সময় কামরুল স্যার বলে উঠলেন অত আকাশ কুসুম চিন্তা না করে, আকাশ পাতাল ভাবনা না ভেবে, ইতরবিশেষ ভুলে উলুবনে মুক্তা ছারানোর দরকার নেই। তার চেয়ে বরং আপনারা ওজন বুঝে চলে এমন কিছু ভাবেন যেন সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। এখানে কারো কাঁচা পয়সা আবার কারো কাটনা কড়ি সব দিকে চিন্তা করতে হবে। তখন ঝাঁকের কই শিক্ষকমন্ডলী গণেরা সকলে মিলে ঠিক করলেন যাব রংপুর। দেখবো ভিন্ন জগৎ এবং বেগম রোকেয়া সাখাওয়াতের বাড়ি এতে এক ঢিলে দুই পাখি মারা যাবে। এমন সময় আমাদের সভাপতি সাহেব বললেন আপনারা আপনাদের এলাহি কান্ড শুরু করেন যেন লাফাফা দুরস্ত ঠিক থাকে। আর ডান হাতের কাজটায় এমন কিছু রাখবেন যেন ভুরি ভোজ শেষে বদনাম না হয়। এরপরেই শুরু হয় আমাদের মহাকর্মযজ্ঞ সকালে উঠে-পড়ে লাগলো। এর দ্বারা বুঝা যায় যে লাইসিয়ামের সকলের এক খুরে মাথা মোড়ানো এটাই এই প্রতিষ্ঠানের বড় একটি বিশেষত্ব। অবশেষে চলে আসে সেই একাদশে বৃহস্পতি। আজ সকাল ৬টায় দেখতেছি লাইসিয়ামে যেন চাঁদের হাট বসেছে। এরপরই শুরু হয় আমাদের যাত্রা, সকলেই বাসে তীর্থের কাকের মত বসে আছি কখন পৌছাবো ভিন্ন জগৎ এ। ঠিক এমন সময় সকলের উদ্দেশ্যে বলা হলো ষোল আনা ঘুরাঘুরি করে সকলে যথাসময়ে যথাস্থানে উপস্থিত হইবেন কোন হ-য-ব-র-ল করিবেন না। তবে ইতিমধ্যে অনেকেই বাসের মধ্যে উকি তুলে লেজে কবরে অবস্থা হয়ে গেছে। এর কিছু সময় পরেই পৌঁছে যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলাম সকলের চোখ ছানাবড়া হলো। সকলেই ঘুরাঘুরি সেরে পেট পূজা শেষ করার পরে দেখা শুরু করলাম অনেকের ছাইচাপা আগুন। সবশেষে ষোল কলা পূর্ণ করে নারির টানে একটু পরেই রওনা দেব আমাদের রাজা রানীদের শহর, আমাদের প্রানের শহর নাটোরের দিকে।

লেখক পরিচিতি

blank
MD TARIKUL ISLAM SHOBHON

Leave a Reply

Your email address will not be published.